আজকে আমাদের আলোচনার বিষয়ঃ সুরকার,গীতিকার ও কণ্ঠ শিল্পী।
সুরকার,গীতিকার ও কণ্ঠ শিল্পী
সুরকার, গীতিকার ও কণ্ঠ শিল্পী
গীতিকারের কল্পনাকে রুপদান করেন সুরকার ও সঙ্গীত পরিচালক আবার সেই কল্পনা ও সুর জনসাধারণের নিকট পৌঁছে দেন কণ্ঠ শিল্পী। গান সার্থক ও জনপ্রিয় হয় সুরকার, গীতিকার ও কণ্ঠ শিল্পীর মিলিত প্রচেষ্টায়, গীতিকার ও সুরকারের কল্পনাকে জনসাধারণের নিকট পৌঁছে দেবার দায়িত্ব একজন কন্ঠ সঙ্গীত শিল্পীর।
এই জন্য কণ্ঠ সঙ্গীত শিল্পীকে সঙ্গীত পরিবেশন করার সময় খুব বেশী সচেতন ও সতর্ক হতে হয়। শিক্ষাকাল থেকে এই বিষয়গুলো অভ্যাস করলে এবং ভালভাবে স্বরপ্রয়োগ কৌশল জানলে বাস্তব জীবনে গান গাইতে অনেক সুবিধা হয়।
গান রচনা কিভাবে হয়
রাগরুপ- প্রথমে একটি রাগ নির্ণয় করতে হয় ।
গানের বাণী- রাগরূপ অনুসারে বাণী বসাতে হবে।
স্থায়ী, অন্তরা, সঞ্চারী, আভোগ- গানের বাণীকে ভাগ করা ।
বাণীর যাত্রা ভাগ- গানের বাণীকে মাত্রায় ভাগ করে নিতে হয় ।
তাল- মাত্রা ভাগের পর তাকে তালে বেঁধে নিতে হয়।
ছন্দ তাল ঠিক করার পর গানের বাণী ও রাগের প্রভাব অনুসারে তার ছন্দ ঠিক করতে হয়।
লয়- ছন্দকে ঠিকভাবে পরিচালনা করার জন্য লয় ঠিক করতে হয় ।
বিলম্বিত লয়, মধ্যলয়, দ্রুত লয়।
গান রচনার নিয়ম সাধারণত সুরকার এবং শিল্পীর ব্যক্তিগত রুচির উপর নির্ভর করে। অনেক সময় গানের বাণী প্রথমে লিখে তারপর তাতে সুর বসানো হয়। গানের কথার সহিত সুরের সংমিশ্রণ করে তারপর গান গাওয়া হয়।
গীতিকার যেভাবেই গানের রচনা করুক না কেন তাদের প্রত্যেককেই কিছু শাস্ত্রসম্মত বিধি-নিয়ম মেনে চলতে হয়। ধ্রুপদ গানে স্থায়ী, অন্তরা, সঞ্চারী এবং আভোগ এই চারটি ভাগই থাকে, কিন্তু খেয়াল গানে সাধারণত দুইটি ভাগ থাকে। যেমন- স্থায়ী, অন্তরা।
আরও দেখুন: