আজকে আমাদের আলোচনার বিষয়ঃ সঙ্গীতের বিষয়ক সংজ্ঞা।
সঙ্গীতের বিষয়ক সংজ্ঞা
সঙ্গীত বিষয়ক সংজ্ঞা
১। পরিভাষাঃ যে ভাষা দিয়ে কোন শব্দের বিশেষ অর্থ বুঝানো হয়ে থাকে তাকে পরিভাষা বলা হয় ।
২। সঙ্গীতঃ গীত, বাদ্য ও নৃত্য কলা এই তিনটি ক্রিয়া একত্রে নিষ্পন্ন হলে যে পরিবেশের সৃষ্টি হয়, তাকে সঙ্গীত বলে । গীত, বাদ্য ও নৃত্যের ভিন্ন ভিন্ন সংজ্ঞা রয়েছে। যেমন-
গীত- কথা, সুর ও তালের মাধ্যমে মনের ভাব প্রকাশ করাকে গীত বলে । বাদ্য-সুর ও তালের মাধ্যমে যন্ত্রের সাহায্যে মনের ভাব প্রকাশ করাকে বাদ্য বলে । নৃত্য ছন্দ ও মুদ্রা সহযোগে সুললিত অঙ্গভঙ্গীর দ্বারা মনের ভাব প্রকাশ করাকে নৃত্য বলে ।
তবে প্রত্যেকটি এক একটি স্বতন্ত্র কলা বিদ্যা । —
৩। সপ্তকঃ “সা হতে নি” পর্যন্ত ৭ (সাত)টি শুদ্ধ স্বর ক্রমানুসারে লিখিত ও সঙ্গীতে ব্যবহার হলে, তাকে সপ্তক বলে । সপ্তক তিন প্রকার যথাঃ- উদারা বা যন্ত্র সপ্তক, মুদারা বা মধ্যসপ্তক এবং তারা বা তার সপ্তক ৭ (সাত)টি শুদ্ধ স্বর (সপ্তক)ঃ
পূর্ণাঙ্গ নাম
ষড়জশ
রেখাব
গান্ধার
মধ্যম
পঞ্চম
ধৈবত
নিখাদ বা নিষাদ
সংক্ষিপ্ত উচ্চারণ
সা
রে
গা
মা
পা
ধা
নি
স্বরলিপিতে ব্যবহার (আকার মাত্রিক)
সা
রে
গা
মা
পা
ধা
নি
এক সপ্তকে মোট কয়টি স্বর (শুদ্ধ ও বিকৃত স্বরসহ)ঃ
১। সা = ষড়জ্
২। ঋা = কোমল রেখাব
৩। রা= শুদ্ধ রেখাব
৪। জ্ঞা= কোমল গান্ধার
৫। গা = শুদ্ধ গান্ধার
৬।মা = শুদ্ধ মধ্যম
৭।= কড়ি মধ্যম
৮। পা = শুদ্ধ পঞ্চম
৯। দা= কোমল ধৈবত
১০। ধা= শুদ্ধ ধৈবত
১১। পা = কোমল নিষাদ
১২। না শুদ্ধ নিষাদ
মানব-জাতির ইতিহাসে বিবর্তনবাদ যদি স্বীকার করে নেওয়া যায় তাহলে সঙ্গীত ও নৃত্যের অভিব্যক্তি মানব-বিকাশের সঙ্গেই সংশ্লিষ্ট। সঙ্গীতের জন্ম সম্বন্ধে পৌরণিক ব্যাখ্যা এবং ধর্মীয় ব্যাখ্যা যাই থাক না কেন বিভিন্ন দেশে এর বিভিন্ন রকমের তত্ত্ব আছে ।
এমন কি নানান আদিম জাতিরাও সঙ্গীতের জন্ম সম্বন্ধে নানা মতামত পোষণ করে। ভারতীয় শাস্ত্রে সঙ্গীতের সৃষ্টি, নাদের উৎপত্তি, স্বরের উৎপত্তি ও তত্ত্বগত বৈশিষ্ট্য নানাভাবেই আলোচিত, কিন্তু মানবজীবনের বিবর্তনের সঙ্গে সংশ্লিষ্ট তত্ত্বগুলো পাশ্চাত্য দেশে নানাভাবে বিশ্লেষণ করা হয়েছে।
আরও দেখুন: