স্বরলিপি পরিচিতি

আজকে আমাদের আলোচনার বিষয়ঃ স্বরলিপি পরিচিতি।

স্বরলিপি পরিচিতি

 

স্বরলিপি পরিচিতি

 

স্বরলিপি পরিচিতি

সঙ্গীতের ক্ষেত্রে স্বরলিপির ভূমিকা খুবই গুরুত্বপুর্ণ। এই স্বরলিপি মাধ্যমেই গান- বাজনাকে চিরকালের জন্য ধরে রাখা যায়। লেখাপড়ার বর্ণমালার মতোই গান-বাজনায় স্বরলিপির প্রয়োজনীয়তা অনস্বীকার্য। সঙ্গীতে বিভিন্ন স্বর ব্যবহার করা হয়।

স্বরগুলোর বিভিন্ন রুপ লিখে বুঝানোর জন্য যে চিহ্ন বা অক্ষর ব্যবহৃত হয় তারই নাম ‘স্বরলিপি’। ইংরেজীতে স্বরলিপিকে নোটেশন (Notation) বলে। উপমহাদেশের সঙ্গীত স্বরলিপির ব্যবহার অতীতে ভত ছিল না। বিভিন্ন যুগে নানা উপায়ে এই স্বরলিপি লেখা হতো।

স্বরলিপি প্রয়োগের পরীক্ষা-নিরীক্ষা চললো বহুদিন যাবত। অবশেষে ঊনবিংশ শতকে ক্ষেত্রমোহন গোস্বামী দণ্ডমাত্রিক স্বরলিপি উদ্ভাবন করেন। এরপর থেকে স্বরলিপি উদ্ভাবনের একটা সাড়া পড়ে যায়। দ্বিজেন্দ্রনাথ ঠাকুর ১৮৮০ সাল নাগাদ কষিমাত্রিক স্বরলিপি প্রবর্তন করেন।

 

স্বরলিপি পরিচিতি

 

১৮৮৫ সালে প্রতিভা দেবী রেখামাত্রিক স্বরলিপি ব্যবহার করেন। পরবর্তী পর্যায়ে ১৮৮৫ সালে জ্যোতিরিন্দ্রনাথ ঠাকুর আ-কার মাত্রিক স্বরলিপি প্রবর্তন করেন। পরে বিষ্ণুনারায়ণ ভাতখন্ডে হিন্দুস্থানী পদ্ধতির স্বরলিপি উদ্ভাবন করেন ।

তাছাড়া, বিষ্ণুনারায়ণ পলুস্করও স্বরলিপির নতুন পদ্ধতি উদ্ভাবন করেন। সঙ্গীত শিল্পীদের স্বরলিপি সম্পর্কে সম্যক জ্ঞান থাকা দরকার। তাই উপমহাদেশে প্রচলিত বিভিন্ন প্রকার স্বরলিপির পরিচলিত আছে।মাত্রা,ছন্দ ও বিভাগ অনুযায়ী তালি ও খালির সহযোগে লিপিবদ্ধ করাকে স্বরলিপি বলে । 

স্বরলিপি হল লিখিত চিহ্নের দ্বারা সাঙ্গীতিক স্বরকে লিপিবদ্ধ করার পদ্ধতি। বহু প্রাচীন সভ্যতায় বিভিন্ন প্রতীকের সাহায্যে সুর লিপিবদ্ধ করার প্রচলন থাকলেও তা আধুনিক স্বরলিপির মত স্বয়ংসম্পূর্ণ ছিল না মধ্যযুগীয় ইউরোপে প্রথম স্বয়ংসম্পূর্ণ স্বরলিপি লিখন পদ্ধতি গড়ে ওঠে এবং পরবর্তীকালে তা সমগ্র বিশ্বের বিভিন্ন ধরনের সঙ্গীতে গৃহীত হয়।

 

স্বরলিপি পরিচিতি

 

স্বরলিপি লিখন পদ্ধতি ৪ প্রকার:

  1. আকারমাত্রিক (সা রে গা মা পা ধা না র্সা, সা -া -া -া)
  2. দণ্ডমাত্রিক (স র গ ম প ধ ন র্স, স – – -)
  3. ভাতখণ্ডে পদ্ধতি
  4. বিষ্ণুদিগম্বর পদ্ধতি

আরও দেখুন:

Leave a Comment